কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর আজ

 

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর আজ। ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি ভোরের আলো ফোটার আগেই ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। অন্ধকারে ঢেকে যাওয়া দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি, শিগগির আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা কম।

ক্ষমতা দখলের পরই গ্রেপ্তার করা হয়, দেশটির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নব নির্বাচিত নেত্রী অং সাং সুচিসহ বেশকিছু আইনপ্রণেতাকে। প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমন করতে একের পর এক গ্রেপ্তার করা হয় দেশটির সাংবাদিক, অভিনেতাসহ অসংখ্য বেসামরিক নাগরিককে। এক বছরে দেশটির জান্তা সরকারের কাছে আটক হন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে এখনো মুক্তি পায়নি ৮ হাজার। সামরিক হেফাজতে নিহতের সংখ্যা অন্তত দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। প্রধান আন্দোলনকারী থিনজার সুন লি ই বলেন, প্রতিবাদ করতে গিয়ে সহযোদ্ধাদের হারিয়েছি, বাকিদের আটক করা হয়েছে। যারা ছাড়া পেয়েছেন তাদের কাছে জেনেছি আটকের পর অকথ্য অত্যাচারের কথা। এ যেন অন্ধকার যুগে বাস করছি আমরা। এছাড়া একের পর এক মানবাধিকার বিরোধী কাজের অভিযোগ উঠে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। কারেন রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ করতে একাধিক হামলা চালায় সেনারা। বড়দিনে সেভ দ্যা চিলড্রেনের ২ কর্মীসহ ৩০ জনকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

মানবাধিকার বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিউসন বলেন, মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি এক বছরে আরো খারাপের দিকে। এখানকার নাগরিকরা মনে করে বিশ্ববাসী তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বছরের মাঝামাঝি অং সাং সুচির বিচার শুরু হয়। জান্তাবিরোধী উস্কানি, করোনার বিধি-নিষেধ ভঙ্গ এবং অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এসব মামলায় অন্তত ১শ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সুচির।

সম্প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তুলছে কারেন রাজ্যের নিপীড়িত মানুষ। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে গেরিলা দল। জানা যায়, জান্তা সরকারকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর তারা। অস্থিরতায় দেশটির অর্থনীতি থেকে শুরু করে ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। শিগগিরই এ সংকট শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

পাঠকের মতামত: